দক্ষিণ চীন সাগরে ডুবে যাওয়া এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
২৪ জানুয়ারী এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানটি যুক্তরাষ্ট্রেরই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসনে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় সাতজন নাবিক আহত হয়েছিলেন। তাছাড়া বিমানের পাইলটও মারাত্মক আহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্রের ১২ হাজার ৪০০ ফুট নিচ থেকে দূরনিয়ন্ত্রিত একটি নৌযান ও ক্রেনের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা হয়।
১০০ মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক এ যুদ্ধ বিমানটি ডুবে যাওয়ার পর সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল বিমানটি সমুদ্রের তল থেকে চীন উদ্ধার করে নিয়ে যাবে এবং বিমানটির যত গোপন তথ্য আছে সেগুলো হাতিয়ে নেবে।
ফলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিমানটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
অবশেষে বৃহস্পতিবার চীনকে টেক্কা দিয়ে নিজেদের বিমান নিজেরাই উদ্ধার করতে সমর্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও চীন ওই সময় জানিয়েছিল, বিমানটি নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমানটির নেটওয়ার্কের সাথে মিশন সিস্টেম সংযুক্ত। ফলে বিমান চলার সময়ই তাৎক্ষনিকভাবে ওই সময়ের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
এ বিমানটিতে রয়েছে লো অবজার্ভেবল সিস্টেম। যার কারণে বিমানটি শক্রুর আকাশে গেলেও ধরা পড়বে না। তাছাড়া বিমানটিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার ইঞ্জিন।
বিমানটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো এটি পাখায় দুটি ও ভেতরে চারটি মিসাইল বহন করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।